২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Search
Close this search box.

‘গুমে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

আহাদ চৌধুরী তুহিন,অমৃতালোক :

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর গুমে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২০ জন সরকারি কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা ২০ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক ডিজি মোখলেছুর রহমান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও বেনজীর আহমেদ, সাবেক এডিজি জিয়াউল আহসান (বর্তমানে গ্রেপ্তার) ও কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এবং সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল মাহাবুব আলম। এ ছাড়া র‍্যাব-৭-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল মেফতা উদ্দিন আহমেদ, র‍্যাব-৪-এর সাবেক সিও অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির, র‍্যাব-১০-এর সাবেক সিও শাহাবুদ্দিন খান, র‍্যাব-১-এর সাবেক

সিও লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, র‍্যাব-১১-এর সাবেক সিও লে. কর্নেল কামরুল হাসানের নামও রয়েছে তালিকায়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সিটিটিসির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম, সদ্য সাবেক ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, ডিবির সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, সিটিটিসির সাবেক এডিসি তৌহিদুল ইসলামের পাসপোর্টও স্থগিত করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু তাহের মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সিদ্দিকের নামও রয়েছে এই তালিকায়।

এর আগেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও সাবেক ২২ জন সেনা কর্মকর্তা ও দুই পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রোববারের চিঠিতে বলা হয়, ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির অনুরোধ অনুযায়ী কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। তদন্তের প্রয়োজনে বর্ণিত ব্যক্তিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে লক্ষ্যে তাঁদের পাসপোর্ট স্থগিত করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

 

 

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম কমিশনের প্রস্তাবে ফুঁসছে প্রশাসন। খবরে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো প্রশাসনযন্ত্র। সরকারে উপসচিব ও যুগ্ম সচিব হতে পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনুপাত ৫০ঃ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে নিয়ে পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন।

কমিশনের এমন প্রস্তাবে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।

একইভাবে কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন বিসিএস হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন এবং শিক্ষকদের বিসিএস জেনারেল এডুকেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়া সারা দেশের ৬৪ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সভার কার্যবিবরণী পাঠিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। তারা কেউই মানছেন না অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব। এই ক্যাডার সংগঠনগুলো নিজ নিজ সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার এসব প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে গণমাধ্যমকেও জানানো হয়। বিএএসএ বলছে, সরকারের সব পদে শতভাগ প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদায়ন করা উচিত। অন্যদিকে প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডার এই ইস্যুতে বলছে, মেধার ভিত্তিতে সরকারের পদে নিয়োগ হবে। সেখানে কোনো কোটা থাকবে না।

আবার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে নিয়ে পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাবে দেশে স্বাস্থ্য খাতে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দায় নেবে না হেলথ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। আর শিক্ষা খাতে অস্থিরতা তৈরি করতেই এমন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ এডুকেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের।

গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে। ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি পাবেন না।

পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া কর্মকর্তাই উপসচিবের তালিকায় ১ নম্বর হবেন। উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে।

এ ছাড়া বলা হয়, সংস্কার কমিশন মনে করে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের বর্তমান কাঠামো বজায় রাখার প্রয়োজন নেই। বরং এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর পরিচালনার জন্য পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবের পরই রাতে রাজধানীর বিয়ামে জরুরি বৈঠকে বসে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিএএসএ। দীর্ঘ বৈঠকের পর তারা গণমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি পাঠায়। তাদের সঙ্গে একমত হন দেশের ৬৪ জেলার ডিসিরাও।

প্রশাসন ক্যাডার যা বলছে : বিএএসএ সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়ার আগেই আকস্মিকভাবে এ ধরনের ঘোষণা অনভিপ্রেত, আপত্তিকর ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করার শামিল। উপমহাদেশে সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে সব সময়ই প্রশাসন ক্যাডার/সার্ভিসের লোকেরাই উপসচিব/যুগ্ম সচিব/অতিরিক্ত সচিব/সচিব পদে কাজ করে আসছেন। রাষ্ট্রে প্রশাসন ক্যাডারের কার্যপরিধির সঙ্গে পলিসিমেকিংয়ের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সরকারের নির্বাহী বিভাগের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে মাঠে সহকারী কমিশনার/সহকারী কমিশনার (ভূমি)/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/জেলা প্রশাসক/বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট পলিসি নয়, বরং সব পলিসি বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের মূল কাজটি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই করে থাকেন। পলিসি তৈরির ক্ষেত্রে সচিবালয়ে উপসচিব ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা পলিসি সম্পর্কে মাঠের বাস্তবতা, অর্জিত জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি দেশের জনগণের প্রতিনিধি রাজনীতিবিদদের কাছে তুলে ধরেন, যারা দেশের নেতৃত্ব দেন। সচিবালয়ে আমলাতন্ত্র রাজনীতিবিদ ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে একটি যোগসূত্রের মতো কাজ করে। এ কারণেই মাঠ প্রশাসনে কর্মরতরাই এই কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। ফলে সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদের সবই প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদায়ন হওয়া উচিত।

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর বেওয়ারিশহিসেবে দাফন, পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা কম। খবরে বলা হয়, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন কবরস্থানে প্রতিটি কবরে একটি করে নামফলক আছে। তাতে দাফন করা মরদেহের নাম-পরিচয় লেখা রয়েছে। কিন্তু কবরস্থানের ৪ নম্বর ব্লকে ওই রকম কোনো নামফলক নেই। একটু পরপর ছোট ছোট বাঁশ পুঁতে রাখা আছে। কেউ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই যে সেগুলো ‘বেওয়ারিশ’ লাশের কবর।

সারি সারি কবরের দুই পাশে সরু হাঁটাপথ। মাঝখানের জায়গাটি সবুজ ঘাসে ছেয়ে আছে। ফুটেছে ঘাসফুল। সেখানে একটি সাইনবোর্ডে চোখ আটকে গেল। তাতে লেখা, এই কবরগুলোতে যাঁরা চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন, তাঁদের সবার পিতৃপরিচয় ছিল, ছিল তাঁদের পরিবার। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের কারণে তাঁরা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়েছেন। তাঁরা তো বেওয়ারিশ ছিলেন না। বোঝা গেল, এগুলোর মধ্যে জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের কবরও রয়েছে। তাঁদের ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে সেখানে সমাহিত করা হয়েছে।

বেওয়ারিশ লাশগুলো জুলাই-আগস্টে দাফন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, যারা নাম-পরিচয় না জানা মরদেহ দাফন করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রায়েরবাজার কবরস্থানে তারা জুলাইয়ে ৮০ জনের ও আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা অনেকেই আন্দোলনে নিহত। কিন্তু সংখ্যাটি কত, তা অজানা।

আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম জানিয়েছে, তারা জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়ে ৫১৫টি মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে। মাসে গড়ে ৪৭টি। তবে জুলাই মাসে সংখ্যাটি বেড়ে ৮০ হয়ে যায়। আগস্টে তারা দাফন করেছে ৩৪টি মরদেহ। যদিও ওই মাসের শুরু থেকে ১১ দিন অস্থিরতার মধ্যে তাদের কাছে কোনো লাশ দাফনের অনুরোধ আসেনি।

কারা আন্দোলনে গিয়ে নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিচয় কী—এসব জানতে তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা দরকার। কিন্তু সে উদ্যোগের গতি ধীর। ফলে রায়েরবাজারে দাফন করা আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পরিবারগুলো স্বজনের কবর খুঁজে পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণও পাচ্ছে না।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম বাবরসহ ছয়জন খালাস পরেশের যাবজ্জীবন। খবরে বলা হয়, চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের আলোচিত মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ছয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, খালাসপ্রাপ্তরা এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ, একই ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলায় তাদের দণ্ড রয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, এ মামলায় বহুমাত্রিক ঘাটতি ছিল, মামলার তদন্তে ছিল যথেষ্ট গাফিলতি। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। দণ্ডিত ১২ জন পৃথক আপিল করেন। মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর ৬ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। ১৩তম দিন শুনানি হয়। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স নাকচের পাশাপাশি কোনো ক্ষেত্রে আপিল মঞ্জুর; আবার কোনো ক্ষেত্রে আপিল নামঞ্জুর করে সাজা সংশোধন করে বুধবার রায় দেওয়া হয়।

দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর রক্তাক্ত বিরোধের নেপথ্যে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলাম প্রচারের কাজ করা তাবলিগ জামাতের বিরোধ ৯ বছরে নিরসন না হয়ে রক্তাক্ত হয়েছে। দু’পক্ষের ভাষ্যে বিরোধের কারণও ভিন্ন। মাওলানা জুবায়েরপন্থি হিসেবে পরিচিতরা বলছেন, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইসলাম পরিপন্থি বক্তব্যের কারণেই বিরোধ। আবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা বলছেন, ঐতিহ্য ভেঙে আমিরের পরিবর্তে শূরায়ে নেজামের (পরামর্শ সভা) মাধ্যমে তাবলিগ পরিচালনা নিয়েই মূল বিরোধ।

২০১৭ সাল থেকেই সরকারের মধ্যস্থতায় টঙ্গীর তুরাগতীরে পৃথক ইজতেমা করছে জুবায়েরপন্থি ও সাদপন্থিরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জুবায়েরপন্থি হেফাজতে ইসলামের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, টঙ্গীতে আর সাদপন্থিদের ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না।

ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে জুবায়েরপন্থিরা টঙ্গীর ময়দানে জোড় ইজতেমা করছিলেন। গতকাল বুধবার ভোরে জোড় ইজতেমার জন্য সাদপন্থিরা ময়দানে গেলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। সাদপন্থিদের শীর্ষ মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সমকালকে বলেছেন, যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। ওদের (জুবায়েরপন্থি) মাঠের বরাদ্দ ছিল ১৬ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত। জোড়ের জন্য মাঠ প্রস্তুতে আমরা বুধবার ভোরে টঙ্গীতে যাই। সেখানে ওরা হামলা করে।

তাবলিগ জামাত রাজনীতি থেকে দূরে থাকা এবং অহিংসার জন্য দুনিয়াজুড়ে পরিচিত। বাংলাদেশে কেন বারবার সংঘর্ষ হচ্ছে– প্রশ্নে ওয়াসিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সমঝোতার জন্য তিনবার চিঠি দিয়েছি। ওরা বলে, আমরা নাকি মুসলমানই না। আমাদের সঙ্গে কী আলোচনা!’

জুবায়েরপন্থি হিসেবে পরিচিত হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী সমকালকে বলেছেন, ২০১৮ সালের মতো এবারও হামলা করেছে সাদের অনুসারীরা। এবার তাদের ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না। সাদকেও বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না।

দু’পক্ষের সঙ্গে কথা জানা গেছে, ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিনে ১৯২৫ সালে তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মুহম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি। তিনি ছিলেন জামাতের আমির। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে ইউসুফ কান্ধলভি আমির হন। সাদ কান্ধলভি তাঁর নাতি। মাওলানা সাদ ২০১৬ সালে অভিমতে জানান, ইসলাম শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেওয়া জায়েজ নয়। সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের মসজিদে এসে নামাজ আদায়ে জোর দেন।

চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে সম্মত আইএমএফ-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির বাইরে অতিরিক্ত ৭৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণ অনুমোদন পেলে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৫৩০ কোটি ডলার। তবে এই ঋণ পেতে অর্থনৈতিক সংস্কারের কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে সংস্থাটি। চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যবেক্ষণ শেষে বাংলাদেশে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার সমপরিমাণ এসডিআর (স্পেশাল ড্রইং রাইটস) দিতে স্টাফ পর্যায়ে সম্মতি দিয়েছে। পরবর্তী বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর বাংলাদেশের রিজার্ভে এই পরিমাণ অর্থ যুক্ত হবে। গতকাল বুধবার বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি বাড়তি ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের পর্যবেক্ষণে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ প্রতিনিধি ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেছে।

গতকাল বুধবার তাদের পর্যালোচনা শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইএমএফের এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার জন্য তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশ সরকার স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে। আগামী বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর এই অর্থ পাবে বাংলাদেশ। পর্যবেক্ষণে আইএমএফ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি

ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চলেছে। এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য সরকার ৭৫ কোটি ডলার ঋণ বৃদ্ধির অনুরোধ করেছিল। এজন্য বাংলাদেশ রাজস্ব বাড়ানো এবং মূল্যাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মুদ্রানীতি কঠোর করা, বৈদেশি মুদ্রা বিনিময় হার সংস্কার বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশ সরকার প্রতিযোগিতামূলক আর্থিক খাত প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আইএমএফ বলেছে, রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে।

এজন্য কর কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে সমন্বিত নীতি গ্রহণ করতে হবে। অতি দ্রুত যে কাজগুলো করতে হবে তার মধ্যে খেলাপি ঋণের প্রকৃত অবস্থা জানতে হবে। অর্থ আদায়ে বিদ্যমান যে নীতি কাঠামো আছে সেগুলো প্রয়োগ করতে হবে। আর্থিক খাত সংস্কারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে মিলিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আর্থিক খাত পুনর্গঠনে একটি রোড ম্যাপ গ্রহণ করতে বলেছে আইএমএফ। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্তিশালী করা, প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে বলেছে আইএমএফ।

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তবে আর্থিক খাত সংস্কার কার্যক্রম ভালো হলে আগামী অর্থবছর এই হার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। পর্যবেক্ষণে আইএমএফ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। এ বছর গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১১ শতাংশ। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে। তবে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি কমে আসার প্রত্যাশা করেছে আইএমএফ।

 ‘দ্বিতীয় দফায় করাচি থেকে আসছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের করাচি থেকে পানামার পতাকাবাহী কনটেইনার জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা জাং ৮২৫ টিইইউএস আমদানি পণ্য নিয়ে আগামী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করতে যাচ্ছে। এটি এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরুর দ্বিতীয় যাত্রা এবং প্রথমবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি আমদানি কনটেইনার আসছে জাহাজটিতে।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে ছেড়ে এলেও এর আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকেও কনটেইনার বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। এক মাসের কাছাকাছি সময়ে দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রামে আগমনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির আভাস মিলছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজের তথ্য অনুযায়ী জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী এবং জাহাজটিতে ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট একক হিসাবে) কনটেইনার রয়েছে।

এসব কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর অন্তত এক হাজার ২০০ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম ত্যাগের আভাস মিলেছে। এর আগে গত ১১ নভেম্বর ৩২৮ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এবং পরদিন কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। ওই জাহাজ আগমনের মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সাথে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলি বন্দর থেকে যাত্রা আরম্ভ করে মধ্যবর্তী করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আগমন করে। জাহাজটির সাধারণ রাউটিং হচ্ছে- জেবল আলি, দুবাই-করাচি, পাকিস্তান- চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ-বেলাওয়ান, ইন্দোনেশিয়া-পোর্ট কেলাং, মালয়েশিয়া-মুন্দা, ইন্ডিয়া এবং পুনরায় জেবল আলি, দুবাই।

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি। দলটির নেতারা মনে করেন, ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব। গতকাল বুধবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলটির নেতারা এসব মন্তব্য করেন।

গতকাল মহাখালী কড়াই বস্তি বনানী ৫ নম্বর রোডে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন ময়দানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও প্রথম কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। আর সে জন্য কিছু আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও মাঠের সংস্কার দরকার। আমরা পর্যবেক্ষণ করে ও বিশ্লেষণ করে বের করেছি, এক্ষেত্রে সংস্কারে চার থেকে ছয় মাস বেশি সময় লাগার কথা নয়।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো কৌশল অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োগ করবে বলে আমরা মনে করি। জনগণ ভোটের অপেক্ষায় আছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সেরে ভোটের আয়োজন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর পালিয়ে গেছে। দোসরদের পালাতে যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানাই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সংবিধানে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসা দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক।’

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ভারত সরকার ও মিডিয়ার অপপ্রচার এবং ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কতদিন পর নির্বাচন হয়েছিল সেটি সবারই মনে থাকার কথা। নির্বাচন করতে কতদিন লাগে সেটি দেশের মানুষ জানে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে, সে জন্যই সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। সব সংস্কার তো আপনারা করতে পারবেন না। কখন নির্বাচন হবে সেটা স্পষ্ট করুন।’ তিনি বলেন, ‘উনাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) বক্তব্য কোনটা বিশ্বাস করব? প্রধান উপদেষ্টা বললেন, ডিসেম্বরের শেষের দিকে (২৫ সাল) এবং ২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন হতে পারে। পরের দিনই উনার (প্রধান উপদেষ্টা) প্রেস সচিব বললেন, এটা আবার ২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত যেতে পারে। উনাকে (প্রেস সচিব) ক্ষমতা কে দিল? প্রধান উপদেষ্টাকে তো আমরা সবাই মিলে বানিয়েছি, দেশের মানুষ বানিয়েছে। প্রেস সচিব মহোদয় আপনি তো সরকারি চাকরি করেন, সরকারের বেতন নেন। আপনি (প্রেস সচিব) কোত্থেকে এই ক্ষমতা পেলেন। আপনি আপনার প্রধান উপদেষ্টাকেও ক্রস করে চলে গেলেন। কাজেই আমাদের জানতে আগ্রহ হয়, কোনটা ঠিক। অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরা ঠিক করুন কে কোন কথা বলবেন, দায়িত্ব নিয়ে বলবেন। একেকজন একেক কথা বললে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি হবে।’

 

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর

বিভাগীয় সংবাদ