বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ভোলা থেকে বরিশালগামী স্পিডবোটের অজ্ঞাত এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এক পুলিশ কনস্টেবলকে আহত অবস্থায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদী ও লাহারহাট খালের সংযোগস্থল জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক অমৃতালোককে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাননি বলে জানান তিনি। নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের যাত্রীর বয়স আনুমানিক (৫০)। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন পুলিশ কনস্টেবল হলেন মানসুর আহমেদ। সে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল।
প্রত্যক্ষদর্শী জনতার হাটের চায়ের দোকানি মো. রাহাত বলেন, ৩টার দিকে নদীর মধ্যে শব্দ হয়। যেদিক থেকে শব্দ আসে, সেইদিকে তাকিয়ে একটি বাল্কহেড যেতে দেখি। আর কিছু দেখতে পায়নি। কিছুক্ষণ পর দেখি কয়েকজন লাইফ জ্যাকেট পড়া ব্যক্তি সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করছে। দ্রুত ট্রলার নিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও লাহারহাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি স্পিডবোট আরো দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে গেছে।
স্পিডবোট মালিক সমিতির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে ১০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশাল নগরীর ডিসিঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। লাহারহাট খাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে প্রবেশ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মালিকের দাবি তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় একজন বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। স্পিডবোটটি উদ্ধার ও নিখোঁজদের সন্ধান চলছে।