আহাদ চৌধুরী তুহিন,অমৃতালোক:
আজ বুধবার ( ৮ জানুয়ারি’২০২৫) দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার শিরোনাম এই সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন মানবে না বিএনপি । এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করার চেষ্টা করলে তা মানবে না বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার ম্যান্ডেট নেই।
বৈঠকে নেতাদের অভিমত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বিগত ১৬ বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও ত্যাগের বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে। ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের বিষয়টি জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে নতুন কর্মসূচি হাতে নেবে দলটি।
গত সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে মানুষের মতামতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রাধান্য পাচ্ছে বলে সরকার গঠিত এসংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে পারে না।
এ ধরনের কোনো নজির নেই। তাই আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। নির্বাচিত সরকারই স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
অন্য কোনো নির্বাচনের ভাবনা এখন আমাদের মধ্যে নেই।’
গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সেখানে কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও ঢাকার বাইরে মানুষের মতামতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রাধান্য পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যেও এ মতামত আছে।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে আরো বলেন, যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তাদের এ ধরনের অভিপ্রায় থাকতে পারে।
এ বিষয়ে কেউ সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতে চাইলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালো হচ্ছে— এটি আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হলেও নানা কারণে সে ধারাবাহিকতা আর জারি থাকেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা সভা, আড্ডায় ছাত্র সংসদ নিয়ে আলাপ তুলতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে। এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনটির দাবি, আগে তাদেরকে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। তারপর ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামীপন্থীদের উপস্থিতি রুখে দিতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ডাকসু নির্বাচনের এখন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না নেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে সেদিন রাতে ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
৩২ বছর ধরে অকার্যকর দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। ৪ মাস ধরে জাকসুর নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এমনকি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে এসেছেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ২৫ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
দেশ রুপান্তরের শিরোনাম ‘৪০০ কোটি টাকা রাজস্বের আশা।’ এতে বলা হয়, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা রাজস্বের আশায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের এমপিদের গাড়ি নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কাস্টমস। এসব গাড়ি নিলামের পরিবর্তে যদি সরকারের সব পাওনা পরিশোধ করে ডেলিভারি নিয়ে যায় তাহলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব পাবে সরকার। এর আগে এমপি সুবিধায় আসা গাড়িগুলোর ভবিষ্যৎ কী হবে জানতে চেয়ে গত ২১ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। চিঠির জবাবে এগুলো আমদানিকারককে সব ফি পরিশোধ করে নেওয়ার জন্য চিঠি দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমপি কোটায় আনা গাড়ির আমদানিকারকদের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমসের মুখপাত্র ও উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছি। চিঠি পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের সরকারের নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করে নিয়ে যেতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ গাড়ি ডেলিভারি না নেন তাহলে নিলাম প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুহম্মদ রইস উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে রেয়াতি সুবিধায় এমপি কোটায় আনা গাড়ির শুল্কায়ন ও ছাড়করণ প্রসঙ্গে বলা হয়, আমদানিকৃত গাড়িগুলো জাতীয় সংসদের সদস্যপদ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনের স্বার্থে সংসদ সদস্যদের প্রয়োজন অনুসারের শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড়যোগ্য। কিন্তু বর্তমানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে যাওয়ায় আমদানিকারক সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকায় গাড়িগুলোর বর্ণিত উদ্দেশ্য, শুল্কায়নের প্রাসঙ্গিকতা নেই মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে। তাই গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে আমদানিকারক স্বেচ্ছায় আবেদন করলে সেই আবেদনের ভিত্তিতে রেয়াতি সুবিধা ছাড়া স্বাভাবিক শুল্ক কর আদায় সাপেক্ষে খালাস প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
আমদানিকারক নিলে কাস্টমসের রাজস্ব বাড়বে কীভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকায় কেনা ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল প্রতিটি গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। কিন্তু রেয়াতি সুবিধার কারণে এমপি কোটায় আনা এই গাড়িগুলো ক্রয়মূল্যেই ডেলিভারির সুবিধা পেতেন সংসদ সদস্যরা। এখন রেয়াতি সুবিধা ছাড়া বর্তমান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ডেলিভারি নিলে প্রতিটি গাড়িতে গড়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত শুল্ক পাবে কাস্টমস। এতে ৪২টি গাড়িতে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। কিন্তু এসব গাড়ি যদি নিলামে বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে চার কোটির বেশি মূল্য ওঠার সম্ভাবনা কম। আর এই টাকায়ও কেউ কিনবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমসের নিলামের বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমদানিকারক যদি গাড়িগুলো পর্যাপ্ত শুল্ক দিয়ে ডেলিভারি নেন তাহলে সরকারের বেশি রাজস্ব আহরণ হবে। নিলামে এত দাম পাওয়া যাবে না। তবে যেই সুবিধায় এগুলো আনা হয়েছিল তারা তো এখন আর এমপি নেই। তারা কীভাবে এসব গাড়ি নেবেন?
ইত্তেফাকের ‘প্লাস্টিক বোতলের একাধিক ব্যবহার গ্রামেই বেশি’ শিরোনামের খবরে বলা হয়, দোকান থেকে পানি, জুস কিংবা অন্য কোনো পণ্যসামগ্রী কিনে ব্যবহার করার পরে, তা ফেলে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা কেউই তা ফেলি না। সেই বোতল ব্যবহার করা হয় একাধিকবার। এমনও দেখা গেছে, একটি কোমল পানীয়র বোতল দিনের পর দিন অন্য দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বোতলগুলো একবার ব্যবহারযোগ্য—এটা প্রায় সবাই জেনেও ঐ বোতলগুলো আমরা ফেলে দিই না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে; বাড়ছে পরিবেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে—একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবহার শহরের তুলনায় গ্রামেই বাড়ছে।
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের পরিবেশগত প্রভাব : দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক প্রকাশিত গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, গ্রামে পানির নানা উৎস থাকলেও প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবহার বাড়ছে। শহরে পানির বোতল এবং গ্রামে কোমল পানীয়ের বোতল বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
শহর ও গ্রামে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের চিত্র তুলে ধরে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ প্রতিনিয়ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করেন। প্রায় ৫১ শতাংশ শহরের ভোক্তা এবং ৪২ শতাংশ গ্রামীণ ভোক্তা প্লাস্টিক বোতল মাত্র একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেন। অধিকাংশ ভোক্তা বোতল একাধিকবার ব্যবহার করেন। শহরে ৪৭ শতাংশ সপ্তাহে, ১৮ শতাংশ দৈনিক এবং গ্রামে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে প্লাস্টিক বোতল কেনেন। এর মধ্যে ২৫০ মিলির বোতল বেশি ব্যবহার হয়, যা শহরে ৩৪ শতাংশ এবং গ্রামে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ। শহরাঞ্চলে ২৫ শতাংশ বিক্রেতা প্রতিদিন ২১ থেকে ৩০টি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল বিক্রি করেন। আর গ্রামে একেক জন খুচরা বিক্রেতা বিক্রি করেন ১০ থেকে ২০টি বোতল।
মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় বাংলাদেশে বেশি— প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় শতকোটি টাকা বা এর চেয়ে বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তো বটেই, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশে মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় কয়েক গুণ বেশি। ফলে মহাসড়ক নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্রেও মহাসড়ক নির্মাণে বিপুল ব্যয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে। গত পহেলা ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্বেতপত্র হস্তান্তর করা হয়।
শ্বেতপত্রে দেখানো হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬৩ দশমিক পাঁচ কোটি ডলার, যা ভারতের তুলনায় চার দশমিক চার গুণ বেশি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয় ভারতসহ আশপাশের দেশের চেয়ে বেশি হয়েছে। কারণ, আগেই ঠিকাদার ঠিক করে রাখা হতো। সেই অনুযায়ী ব্যয় ও দরপত্রের শর্ত তৈরি করত। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেই এত ব্যয়।
অর্থনীতি ধ্বংস করতেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব— যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম। ব্যবসায়ী নেতাদের বরাতে এই খবরে বলা হয়, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে পেট্রোবাংলার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নতুন শিল্পের সঙ্গে পুরোনো শিল্পের বৈষম্য তৈরি করবে।
তাদের ভাষ্য এই প্রস্তাবটি আদতে “দেশবিরোধী চক্রান্তের একটি অংশ”।
শিল্পমালিকরা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে গত দুই বছরে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়। কিন্তু শিল্পমালিকরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাননি। গ্যাসের বদলে বাতাসের দাম দিতে হয়েছে। এখন আবার কাউকে কিছু না জানিয়ে, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শিল্পের জন্য আত্মঘাতী। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশে শিল্পায়ন হবে না। নতুন শিল্প না হলে কর্মসংস্থানও হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি চক্র এ ধরনের একের পর এক প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার গ্যাসের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলো পেট্রোবাংলা। এতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Passports of Sheikh Hasina, 96 others revoked বা শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল—এটি ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, গতকাল ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, এর মধ্যে গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত ২২ জন এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, তার পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়টি ভারত সরকার জানে। ভারত সরকার থেকে বলা হয়েছে যে তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা গত পাঁচই অগাস্ট ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। তখন থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।