২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Search
Close this search box.

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে কীভাবে’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

আহাদ চৌধুরী তুহিন,অমৃতালোক :

আজ বুধবার ( ১৮ ডিসেম্বর) দৈনিক সমকাল পত্রিকার শিরোনাম ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরবে কীভাবে খবরে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের পর তা কীভাবে এবং কবে সংবিধানে যুক্ত হবে, তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

অনেকে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওই রিভিউ আবেদনের ওডর আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে। এটি নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে তার অবসান ঘটবে।

কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হয়ে গেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরতে পারে।

হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের’  আজকের পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদক পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক স্মারক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেনও শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তদন্তের সম্মুখীন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দুদক সূত্র বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) সরিয়েছেন।

কাগজ সঙ্কটে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ’ নয়া দিগন্ত পত্রিকার  শিরোনাম। এতে বলা হয়, চাহিদামতো কাগজ না পাওয়ায় বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে। বছরের এই সময়ে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যেখানে রাত-দিন বই ছাপার কাজে ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে কাগজ সঙ্কটে দিনে-রাতে মাত্র দুই-তিন ঘণ্টাও কাজ করতে পারছেন না তারা।

২০২৫ সালের জন্য প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের ৪০ কোটির বেশি বই ছাপার টার্গেট থাকলেও মিল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ না আসায় বেশিরভাগ প্রেসে অলস সময় কাটাচ্ছেন মুদ্রণকাজের সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা।

বিভিন্ন প্রেসমালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সাথে চুক্তি মোতাবেক তাদেরকে পাঠ্যবই ছাপার জন্য যে সময় নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে সে মোতাবেক সবধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন তারা।

ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্তরের প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট নয় কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৭ কপি বই ছাপার জন্য ৪১টি প্রেস চুক্তিবদ্ধও হয়েছে।

কিন্তু প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাড়া অন্য কোনো ক্লাসের বই বিশেষ করে চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই এখনও ছাপার কাজ শুরুই হয়নি।

অন্যদিকে, মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপার জন্য কয়েকটি চুক্তি হলেও সেই বই ছাপার কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি অনেক প্রেসমালিক।

 

ক্ষুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার, খুশি অন্যরা’ কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, তিনিই তালিকায় ১ নম্বরে আসবেন। আর উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ও অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৭৫ঃ২৫ শতাংশের বদলে ৫০ঃ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষুুব্ধ প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তারা।

নিজেদের করণীয় ঠিক করতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জরুরি বৈঠক করেছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। এটি পরিবর্তন করা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করার শামিল। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।অন্যদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, উপসচিবের মতো যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একই সুবিধা থাকতে হবে। এটি করা হলে প্রশাসনের দীর্ঘদিনের আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। প্রশাসনে সব ক্যাডারে সমতা ফিরবে।

তবে উল্লিখিত বিষয়ে নাম প্রকাশ করে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাই মুখ খুলতে রাজি হননি। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। সভায় কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে। ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি পাবেন না।

পরীক্ষায় একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পেলে তিনি উপসচিবের তালিকায় ১ নম্বরে আসবেন। এর মাধ্যমে আন্ত ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের যে কেউ ৭০ নম্বর পেলে প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন। এ ছাড়া উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ সুপারিশ করা হচ্ছে। বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ নেওয়া হয়। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে। প্রশাসন ক্যাডারের ব্যাচভিত্তিক সংগঠনগুলোর গ্রুপে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপগুলোতে এ নিয়ে আলোচনা হতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিএএসএ গতকাল রাতে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে জরুরি বৈঠক আহ্বান করে। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখাবুর রহমানের সই করা নোটিশে সভার আলোচ্যসূচিতে রয়েছে ‘সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা’।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএএসএর এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, এটা হতে পারে না। পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিতে চাইলে নেবে, এতে তেমন আপত্তি নেই। কিন্তু উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেখানে কিভাবে সংস্কার কমিশন হাত দেয়। এটা রীতিমতো আদালত অবমাননার শামিল। এটা কোনোভাবেই মানা হবে না। এই পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, তা নির্ধারণ করতেই বিয়ামে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।

২০২৪ সালে বাংলাদেশী টাকা এশিয়ার অন্যতম দুর্বল মুদ্রা’ বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে নয় শতাংশেরও বেশি।

তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে। কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজারের দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।

বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত দর অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। আর গতকাল মঙ্গলবার প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত এ দর আমলে নিলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে নয় দশমিক ১০ শতাংশ। তবে ব্যাংকগুলো এখন ১২৬ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক দশক আগে ডলারের দর বেঁধে রাখার যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছিল, গত তিন বছর সেটিরই খেসারত দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল পরবর্তী সময় থেকেই দেশে ডলারের দর বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই সময় দরকার ছিল ডলারের দরের সঙ্গে সংগতি রেখে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো।

কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার টাকাকে শক্তিশালী দেখাতে চেয়েছে। এ কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল পরবর্তী সময়ে এসে বাঁধ দিয়ে রেখেও টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যায়নি।

দৈনিক জনকণ্ঠের শিরোনাম ‘২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই নির্বাচন‘। খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদি সংস্কার হয় তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টা আলোকপাত করেছেন। চূড়ান্ত তারিখ কি? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কি হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।
প্রেস সচিব বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত, যাদের হাতে রক্ত আছে। তাদের বিচার হবেই। এখানে কোনো মাফ নেই। যারা গুমে জড়িত ছিলেন তারা রাজনৈতিক দল হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেও বিচার হবেই। এইটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আওয়ামী লীগের নেতা ও অভিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেশত্যাগের অভিযোগের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। অনেকগুলো বিষয় জানতেও পেরেছি। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন কি ছিলেন না, সেই প্রমাণ সরকারের হাতে নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব। আমার সময় তো আসীন নয়। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারব সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে আমরা মানসম্মত পরিবর্তন আসবে সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি নজর দিচ্ছি।

আমলাদের অর্থ উদ্ধারে চুপ‘ বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্রে আমলাদের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হলেও তাদের অবৈধ সম্পদ উদ্ধারে সবাই একদম চুপ। এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। হাতে গোনা কয়েকজন সচিবকে সরিয়ে বিগত সরকারের বিশ্বস্ত সচিবদের নিয়েই চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের সংসার। অথচ যেসব ব্যবসায়ী দেশে বিনিয়োগ করেছেন, শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান করেছেন, দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন সরকার রীতিমতো তাদের গলা টিপে ধরছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ বছরের শাসনামলে সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ  বিভিন্ন সরকারি কর্মকান্ডের জন্য প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্যয় হওয়া এই টাকা থেকে ঘুষ হিসেবেই চলে গেছে ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটির মতো। এর মধ্যে ৭৭ হাজার থেকে ৯৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ গেছে আমলাদের পকেটে। ঘুষের অর্থ প্রবাসে থাকা আমলাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ঘুষের অর্থের নিরাপদ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলারের দাম ১২০ টাকা) এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াও সরকার ও আওয়ামী লীগের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, রাজনীতিবিদ, আর্থিক খাতের রাঘববোয়ালরা (ক্রীড়নক) এই অর্থ পাচার করেছেন।

পাচারের পাশাপাশি দেশে বাসায়ও টাকা রেখেছেন আমলারা। এদের মধ্যে সাবেক দুই সচিবের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি মুদ্রা। গত ১৬ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালের বাসা থেকে ৩ কোটির বেশি টাকা এবং ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে শাহ কামালের বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

 

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর

বিভাগীয় সংবাদ