আহাদ চৌধুরী তুহিন,অমৃতালোক :
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘হজ নিবন্ধনে সাড়া কম, বিমানের ভাড়া কমাতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি’ । প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর হজে যেতে নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল রবিবার। গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে নিবন্ধন করেছেন ৫৫ হাজার ৬৫২ জন হজযাত্রী। অথচ কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত কোটা খালি আছে ৭১ হাজার ৫৪৫টি।
আর মাত্র এক দিন সময় বাকি থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এমন পরিস্থিতিতে হজ কোটা পূরণ করতে বিমানভাড়া কমাতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো ২৭ হাজার ৮২০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা বিমানভাড়া নির্ধারণ করতে আধা-সরকারিপত্র (ডিও) দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে।
পত্রে খালিদ হোসেন বলেন, বিমানভাড়া কমানো হলে বাংলাদেশের হজ কোটা পূরণ সহজ হবে। সৌদি সরকারের কাছে দেশের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে। উল্লিখিত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হজের বিমানভাড়া কমাতে বিমান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি।
তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জবাব দেননি। তার পরও প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিমানভাড়া না কমালে আমরা প্রয়োজনে থার্ড ক্যারিয়ার ওপেন করে দেব। অর্থাৎ যেকোনো এয়ারলাইনস হজযাত্রী পরিবহন করতে পারবে।’ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তিনটি এয়ারলাইনস হজফ্লাইট পরিচালনা করে।
এর একটি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস’। বাকি দুটি এয়ারলাইনস সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’।
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘মামলা আতঙ্কে মানুষ!’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এলএস ক্যাবল অ্যান্ড সিস্টেম। এই প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। বছর তিনেক আগে কাজ না করে দিয়েই বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্স এল এস ক্যাবলের কাছে ৫৩ কোটি টাকা দাবি করে। পরে পাওনা টাকার অভিযোগ এনে বিএনএফ ইঞ্জিনিয়ার্সের এমডি মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ছাড়াও এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন ঐ প্রতিষ্ঠানের কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ার স্যাম স্যাং হোয়াইও, ইঞ্জিনিয়ার হং উ লি, ইঞ্জিনিয়ার সুদীপ চক্রবর্তী, হিসাব শাখার ব্যবস্থাপক ইমাম হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার নাফিস মোহাইমিন। পরে এই মামলায় প্রত্যেকে জামিন পান। পরবর্তী সময়ে গত ১০ ডিসেম্বর এই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল। এর আগেই ৪ ডিসেম্বর ইমাম হোসেন ও নাফিজ মোহাইমিনের কাছে কুরিয়ার সার্ভিসে পাঠানো একটি চিঠি আসে। চিঠি খুলে তারা দেখতে পান যে গত ১৯ নভেম্বর আদালতে জনৈক অনিক কুমার দাস তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করে আদালত সেটি তদন্ত করার জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় অনিক কুমার দাস অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার শরীরে চারটি বুলেট বিদ্ধ হয়। আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৪ জনকে। আসামি তালিকার ২১৫ নম্বরে ইমাম হোসেন এবং ২১৬ নম্বরে নাফিজ মোহাইমিনের নাম রয়েছে। আসামির তালিকায় এই দুই জনের নাম দেখে এলএস ক্যাবল অ্যান্ড সিস্টেমের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। তাদের অভিযোগ, আসামির তালিকায় থাকা ঐ দুই জন কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। এমনকি কোনো রাজনীতির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের করা প্রায় সব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করার পাশাপাশি ব্যক্তি আক্রোশ কিংবা পূর্বশত্রুতার জেরেও অনেককে আসামি করার অভিযোগ রয়েছে। একই ব্যক্তির নাম পাঁচ-ছয়টি মামলার এজাহারে যেমন আছে, ঘটনার দিন এলাকায় ছিলেন না, এমন ব্যক্তির নামও আছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করে অনেক ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এখনো মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে। মামলার বাদীর সঙ্গে আঁতাঁত করে তৃতীয় একটি পক্ষ কতিপয় পুলিশের যোগসাজশে আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রফিকুল ইসলাম সরকার। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাকে উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ট্রাক হেলপার হত্যা মামলার আসামি করা হয়। তিনি মামলার ৪৩ নম্বর আসামি। আদালতে দায়ের করা এ মামলার বাদী রকিবুলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে তার মোবাইল নম্বর দেওয়া হলেও তা বন্ধ। কিন্তু তৃতীয় একটি পক্ষ রফিকুলের কাছ থেকে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। মান-সন্মানের ভয়ে কারো সঙ্গে আলোচনাও করতে পারছেন না তিনি। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী অথরাইজড অফিসার আওরঙ্গজেব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ধানমন্ডিতে কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিক হত্যা মামলার আসামি করা হয়। এরপর তার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেছে একটি চক্র। বর্তমানে তার কাছ থেকে আরো টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এছাড়া সরকারি আরো বেশ কজন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একইভাবে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছে।
‘হঠাৎ ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, যানজট, ভোগান্তি’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাইরের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। বিষয়টি আগে থেকে না জানার কারণে অনেক মানুষ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেল থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত, দোয়েল চত্বরসহ ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে শাহবাগ, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, মৎস্য ভবন, আজিমপুর, চানখাঁরপুল, বকশী বাজার ও মিরপুর সড়কে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ছুটির দিনে ক্যাম্পাস এলাকায় ঘুরতে গিয়ে অনেকে যেমন যানজটে আটকা পড়েন; আবার ওই এলাকায় কাজে গিয়েও অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গতকাল রাত নয়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে যানজট দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে নিরাপত্তা ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। বহিরাগত যানবাহন ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তবে ভুক্তভোগীদের অনেকে প্রথম আলোকে বলেছেন, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের এমন সিদ্ধান্তের কথা তাঁরা জানতেন না। যানজটের ভোগান্তিতে অসন্তোষ জানিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ‘ডেলিভারিম্যান’ রেজাউল করিম গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, তিনি একটি পণ্য নীলক্ষেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত তাঁর জানা ছিল না। সে কারণে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে দীর্ঘ সময় নীলক্ষেত মোড় এলাকায় আটকে ছিলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে ভালোভাবে প্রচার করা উচিত। তাহলে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে না।
ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বাইরের যানবাহন চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। যান চলাচল সীমিত রাখার সময় বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং হয়ে পলাশী দিয়ে বের হওয়ার রাস্তাটি খোলা থাকছে। এ ছাড়া জরুরি পরিবহন, রোগী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অতিথির গাড়ি বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো দাপ্তরিক কাজে এলে ক্যাম্পাসে ঢোকা যাবে। হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা নেই।
‘পড়ে আছে করোনা টিকার দুই হাজার কোটি টাকা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, করোনার টিকা কেনার জন্য সরকার দুই বছর আগে এডিবি থেকে ঋণ নিয়ে ইউনিসেফকে ৯৪ কোটি ডলার দেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৮ কোটি ডলার অর্থাৎ বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অব্যবহৃত থেকে যায়। দেশ যখন তীব্র ডলার সংকটে তখন অদৃশ্য কারণে প্রায় দুই বছরেও ওই ডলার ফেরত আনা হয়নি। কেন এ অর্থ আনা হলো না, তা কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না। টিকা কেনার চুক্তি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের মধ্যে হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বিষয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে পড়ে থাকা অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, এর আগেও এ অর্থ ফেরতের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হলেও অধিদপ্তর থেকে তা জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ২০২১ সালের ২৪ জুন সরকারের ৯৪ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় রেসপনসিভ কভিড-১৯ ভ্যাকসিনস ফর রিকভারি প্রকল্পের জন্য এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়। ঋণের অর্থ দিয়ে টিকা কেনাসহ আনুষঙ্গিক লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য ২০২২ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল কিনা, তাও স্পষ্ট নয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, পুরো টিকা কেনার প্রয়োজন না হওয়ায় ১৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলারে ইউনিসেফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থেকে যায়। স্থিতি অর্থের বিপরীতে সুদ জমা হয়ে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৮ কোটি ডলার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইউনিসেফের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনায় দেখা যায়, এটি সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে সংশোধন করে সুদ সরকারি কোষাগারে জমা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আবারও কভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে উপর্যুক্ত ঋণ চুক্তির আওতায় অব্যয়িত অর্থ সুদসহ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে চুক্তি সংশোধনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
‘আ’লীগ নেতাদের উসকানিতে গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতা’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের গার্মেন্ট খাত অস্থির করতে পতিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে একটি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করলে নতুন করে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করছে তারা। এ নেতাদের ষড়যন্ত্রের কারণে গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতা বন্ধ হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বলেন, সরকারি হস্তক্ষেপে পাঁচটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত বেতনের ইনক্রিমেন্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সাম্প্রতিক মজুরি বৃদ্ধির পরও কেন শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাবুল আক্তার বলেন, ‘বাস্তবতা হলো আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শ্রমিক স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। এই সব শ্রমিক প্রায়ই তাদের রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে কাজ করে। কখনো কখনো তারা তাদের ফেডারেশন নেতাদের নির্দেশ উপেক্ষা করে।
তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের কারণে কিছু রাজনৈতিক নেতা পিছু হটেছে। তবে যেসব শ্রমিকরা সচেতন তারা জানে আন্দোলনের কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা কম। এ জন্য তারা সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যেসব শ্রমিক বা রাজনৈতিক নেতারা গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতা তৈরি করছে, তাদের শাস্তির আওতায় না আনতে পারলে গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
বিজিএমইএর তথ্যে দেখা যায় বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পর অস্থিরতা ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর পাশের আশুলিয়ায় ২৫টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বন্ধ করে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় আল-মুসলিম, নাসা, নিউ এইজ, ডেকোসহ ২৯টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা, পোশাক কারখানার মালিক এবং সরকারের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বার্ষিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় । তবে শ্রমিকদের দাবি নতুন করে আরো ১৫ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন একটি সমাধান করা বিষয়ে উসকে দিয়ে একটি চক্র গার্মেন্ট খাতে অস্থিরতা তৈরি করছে।
গত সোমবার সরকার নিয়মিত বার্ষিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষণানুসারে গার্মেন্টশ্রমিকদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পাবে ৯ শতাংশ। শ্রমিকরা তাদের ডিসেম্বরের মজুরির সাথে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি বেতন পাবে বলে জানানো হয়।
শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি এবং শ্রমিক নেতারা বলছেন, সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে পতিত আওয়ামী লীগের নেতাদের উসকানির কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না গার্মেন্ট শ্রমকিদের। তারা আরো উল্লেখ করেছে কিছু নেতা এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করছে। এসব নেতার নিজস্ব এজেন্ডাকে বাস্তবায়নে গার্মেন্ট খাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থির করে তোলা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘প্রাথমিক শিক্ষায় ১১ রকমের স্কুল, পাঁচ ধরনের কারিকুলাম’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রাথমিক পর্যায়ে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় সব শিক্ষার্থীকে একই বই পড়ানো হয় এবং একই ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে অন্তত ১১ ধরনের। ধরনভেদে প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমেও রয়েছে ভিন্নতা। সরকারিভাবে স্বীকৃত বা স্বীকৃতিহীন মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় কারিকুলাম চালু আছে অন্তত পাঁচ রকমের। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রাথমিক পর্যায়ে একই ধরনের কারিকুলামের আওতায় একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের কথা বলা হলেও দেড় যুগেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।
প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন ও কারিকুলামের এ ভিন্নতা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের শুরুতেই অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার স্তরে ব্যাপক পার্থক্য তৈরি করে দিচ্ছে। পাশাপাশি তা সামাজিক বৈষম্যও বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ খাতসংশ্লিষ্টদের।
দেশে বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, উচ্চ মাদ্রাসাসংলগ্ন এবতেদায়ি মাদ্রাসা, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট স্কুল, কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়।
এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় পুরোপুরি সরকারি কারিকুলামকেই অনুসরণ করা হয়। এ কারিকুলাম সাধারণ শিক্ষা কারিকুলাম নামেও পরিচিত। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় সাধারণ শিক্ষা কারিকুলামে নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বেশকিছু অতিরিক্ত বিষয়ও পড়ানো হয়। এবতেদায়ি মাদ্রাসা এবং উচ্চ মাদ্রাসা সংলগ্ন এবতেদায়ি মাদ্রাসায় অনুসরণ করা হয় সরকার নির্ধারিত পৃথক কারিকুলাম। এ কারিকুলাম সাধারণ মাদ্রাসা কারিকুলাম নামে পরিচিত, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। আর কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোয় সম্পূর্ণ নিজস্ব কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। এ দুই ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন পদ্ধতিও পুরোপুরি আলাদা। কওমি মাদ্রাসায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষায় জোর দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনুসরণ করা হয় বিদেশী কারিকুলাম।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পার্থক্যের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পর্যায় শেষে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতার স্তরে পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক বৈষম্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষে প্রতিষ্ঠানের ধরন ও কারিকুলামভেদে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতার মধ্যে যে ফারাক দেখা যায়, সেটি দূর করা অপরিহার্য বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ এবং জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হলে একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে বলে অভিমত তাদের।
‘ঐক্যের পর অনৈক্যের সুর’-এটি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।