আহাদ চৌধুরী তুহিন,অমৃতালোক
আজ ৪ ডিসেম্ভর বুধবার দৈনিক প্রথম আলো‘র পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘৪ হাজার কোটি জামানত রেখে ৭৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ’। খবরে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৭৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে এর বিপরীতে জামানত দেওয়া সম্পদের মূল্য মাত্র চার হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকে এখন নিরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও তদন্ত চালাচ্ছে। কেবল একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যেভাবে একটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে, তা দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থনে। ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে ঋণ বের করার ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের আইনকানুন ও নিয়মনীতির বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
দেশ রূপান্তর পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে ‘প্রণয়কে তলব চাইলেন স্থিতিশীলতা’। খবরে বলা হয়, ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমুখী, এখানে কথা বলার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এই সম্পর্ককে শুধু একটি মাত্র বিষয়ে সীমাবদ্ধ করা যায় না। শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অভিন্ন আকাক্সক্ষা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার দেশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে হাজির হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এদিকে নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সব ধরনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে র্কর্তৃপক্ষ। সোমবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত ও বাংলাদেশ।
এছাড়া বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। একইসঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজড’ করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশপ্রধান (সুপারিনটেনডেন্ট) কে কিরণ কুমার। বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে সভা ডেকেছিল হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠন। এ সময় সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে একদল বিক্ষোভকারী। তারা সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গতকাল বিকেল ৪টায় প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। আধা ঘণ্টার মাথায় মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশের অন্যত্র উপ বা সহকারী হাইকমিশনগুলোর নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সরকার।’
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম করেছে ‘বন্দরে বাণিজ্যে বাধা’ এটি। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য নিয়ে ভারত সরকার সরাসরি কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বার্তা ঢাকা-দিল্লির’। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে থিতু হলে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে চিড় ধরে। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় তিক্ততায়। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ঘিরে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলাটি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতির নতুন মাত্রা পায়। দু’দেশের উত্তাপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরই ঢাকা ও দিল্লি দু’পক্ষ থেকেই ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক’ করার বার্তা এসেছে।
গেল সোমবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে ‘হিন্দু সংগ্রাম সমিতি’। তারা সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া আরও কয়েকটি স্থানে ভারতীয় বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ করে। তারা বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সোমবার বিক্ষোভ হয়েছে মুম্বাই সহকারী হাইকমিশনের সামনেও। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, হামলার ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে দিল্লি। তারা মনে করে, আগরতলায় যা হয়েছে, তা মোটেও ভালো হয়নি। ভারত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চায়। এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বহুমুখী। আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। একে শুধু একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ করতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘ভারত সত্যিকার অর্থে একটি গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়। এখানে কিছু বিষয় আছে। অনেক ক্ষেত্রে একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। এই নির্ভরশীলতা আমরা উভয়ের স্বার্থে কাজে লাগাতে চাই। আমরা আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, যাতে দু’দেশই উপকৃত হয়। এখানে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতিও রয়েছে।’
এদিকে গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়ার সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সম্পর্কে আন্তরিকতা বাড়াতে যা করা দরকার, বাংলাদেশ তা করবে।’ নাম না প্রকাশের শর্তে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল সকালে সমকালকে বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, ভারতে এমন কিছু হিন্দু সংগঠন রয়েছে, যারা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ভারত বড় দেশ, তাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। ঠিক যেমনটি সম্ভব নয় বাংলাদেশেও। এ কারণে বিবৃতি দিয়ে দিল্লি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। দুঃখ প্রকাশ বা নিরাপত্তা বাড়ালেও বিবৃতিতে দোষীদের শাস্তির বিষয়ে কোনো বক্তব্য ছিল না কেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন, আমরা কাজ করে দেখাব। ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক কি তাহলে হচ্ছে– এমন প্রশ্নে ওই কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি যদি আর ঘোলাটে না হয়, তাহলে আগামী মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আগরতলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক এবং নির্লিপ্ততার জন্য চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হাইকমিশনের বাইরে জমায়েত ঠেকাতে মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দিল্লির সূত্রগুলো জানায়, কানাডায় শিখ নেতা হত্যার পর পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে বেশ চাপে পড়ে ভারত। এই হত্যার পর কানাডা-ভারত সম্পর্ক তলানিতে নামে। এ সময় ভারতীয় গণমাধ্যম কানাডার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় নামে। বিষয়গুলো সবই দেখেছে পশ্চিমা দুনিয়া। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একই অপপ্রচার শুরু করে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিষয়গুলোকে দেশটির প্রশাসন ভালোভাবে না নিলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা ‘গোদি মিডিয়া’কে ঠিক আটকাতে পারেনি। তবে আগরতলা ঘটনার পর উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি প্রকাশের বিষয়ে চিন্তা করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের আরেক কূটনীতিক সমকালকে বলেন, কানাডার সঙ্গে যা হয়েছে, তাতে ভারতের গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আগরতলা ঘটনার পর এ ধরনের বিষয়ে কিছুটা কঠোর হতে যাচ্ছে প্রশাসন। গণমাধ্যমগুলোর উস্কানি ছড়ানোর মাত্রার ওপর লাগাম টানার বিষয় রয়েছে এখানে। যেমন ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে। ভারত চাইছে, সম্পর্ক স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে।
আজ বণিক বার্তা পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে ‘সরকারি ব্যয়ের ৫১ শতাংশ খরচ হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে’। খবরে বলা হয়, ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয়ের বোঝা ক্রমেই স্ফীত হয়ে উঠছে। একসময় সরকারের পরিচালন ব্যয়ের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থ ব্যয় হতো ঋণের সুদ পরিশোধে। কিন্তু চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে এ খাতে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে চলতি অর্থবছরে সরকারকে সবচেয়ে বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় ঋণ ও সুদ পরিশোধের চাপ আরো তীব্র হয়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতিকে আরো সঙ্গিন করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় সরকারকে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ফিসক্যাল প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ৮২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশোধেই সবচেয়ে বেশি ৫১ শতাংশ বা ৪২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল পরিচালন ব্যয়ের ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
এর মধ্যে স্থানীয় ঋণের সুদ পরিশোধে ৩৯ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ও বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধে ৩ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। মাসে গড়ে সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। বাকি ৯ মাসে এ হারে সুদ পরিশোধ করা হলে অর্থবছর শেষে এর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকায়। যদিও এ খাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে উন্নয়ন খাতে সরকার ১০ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা এ খাতে মোট বরাদ্দের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সুদ পরিশোধের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা খাতে ১০ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৯ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সুদ বাবদ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সময়ে সরকারকে সামাজিক অবকাঠামো খাতে তুলনামূলক কম ব্যয় করতে হয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে খাতটিতে ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যেখানে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে ভিসাসহ কনস্যুলার সেবা বন্ধ’। খবরে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভিসাসহ সব ধরনের কনসুলার সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে মিশনের ভিসা ও কনসুলার সেবা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ দিকে স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হামলায় আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রেক্ষাপটে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহর সাথে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন। এ সময় আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রতিবাদ পত্র ভারতের হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।