২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Search
Close this search box.

মার্কিন কোম্পানি থেকে বছরে ৫০ লাখ এলএনজি ক্রয়ের চুক্তি বাংলাদেশের

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

নিউজ ডেস্ক,অমৃতালোক :

বাংলাদেশের কাছে বছরে ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতি গ্যাস (এলএনজি) বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজি। এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে আর্জেন্ট এলএনজি। এই কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায়। বছরে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা আড়াই কোটিতে উন্নীত করার কাজ চলছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, পোর্ট ফরচোনে এই কোম্পানির প্রকল্প চলমান। তা সম্পন্ন হলে তাদের কার্গোতে করে পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাস বিক্রি করবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে জ্বালানি নির্ভর শিল্পের যে বিস্তার ঘটছে এই চুক্তির ফলে শুধু সেই চাহিদাই নিশ্চিত হবে এমন নয়।

একই সঙ্গে এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী হবে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ তার জ্বালানি চাহিদা সমাধানে চেষ্টা করে আসছে। একই সঙ্গে এলএনজি ব্যবহার বৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু মূল্যের বিষয়ে বাংলাদেশ বেশ স্পর্শকাতর। ২০২২ সালে যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া তখন এলএনজির দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে তারা সস্তায় কয়লা পোড়ানোর দিকে ঝুঁকে পড়ে।

ওদিকে গত সোমবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এটাই এলএনজি সরবরাহের বড় চুক্তি। একই সঙ্গে নতুন প্রশাসন যে জ্বালানিভিত্তিক নীতির দিকে দৃঢ় আস্থা নিয়েছে তারই প্রতিফলন এটা। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই তাদের কাছে হিমায়িত তরল গ্যাস রপ্তানিতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স স্থগিত তুলে নিয়েছেন নির্বাহী আদেশে। এর মধ্য দিয়ে তিনি এলএনজি গ্যাস রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে বিশ্বে এলএনজি রপ্তানির সবচেয়ে বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৮ সালের মধ্যে এই সক্ষমতা দ্বিগুন করতে চাইছে তারা।

 

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর

বিভাগীয় সংবাদ